সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্যোগে রক্ষাকবচ পাগনার হাওরের সাত করচ বাগান সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান ওয়েজখালিতে সহস্রাধিক ভারতীয় শাড়ি জব্দ বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনওকে রংপুরে বদলি শান্তিগঞ্জে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপসহীন ৫ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে থাকার গল্প শোনালেন ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন বাণিজ্য : জিএম কাদের ও চুন্নুর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই পথে যেতে যেতে : পথচারী যাতায়াত বিড়ম্বনায় গুদাম বিমুখ হাওরের কৃষক ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই : জেলা প্রশাসক সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন ‘মব জাস্টিসে’ ৯ মাসে নিহত ১৪৩ শান্তিগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে কবরস্থানে নিয়ে বলাৎকার নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপিত আজ থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা দুই সেতু নির্মাণে মহালের বালু ফ্রি ব্যবহার করছে ঠিকাদার! দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত সিলেট সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন বিএসএফের

সংবিধানে হাত দেওয়া উচিত হবে না : মুনীরুজ্জামান

  • আপলোড সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:১৬:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:১৬:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবিধানে হাত দেওয়া উচিত হবে না : মুনীরুজ্জামান
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগে সমর্থন জানালেও সংবিধানের মতো বিষয়ে হাত দেওয়াকে অনুচিত হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, সংবিধানে হাত দেওয়া উচিত হবে না। সংবিধান শুধুমাত্র পরিবর্তন করতে পারে জনপ্রতিনিধি বা যারা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবে। রোববার ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মুনীরুজ্জামান বলেন, অন্য কারোর কোনো অধিকার বা এখতিয়ার নেই, এটাকে বড় ধরনের পরিবর্তন করার এবং এটা করতে গেলে পরে যে জটিলতা আসবে- সেটা হয়তো কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। এই কারণে আমি বলতে চাই যে- যেটুকু আমাদের করা সম্ভব, সেটুকু শুধু আমাদের করা উচিত এবং তার বাইরে এমন কিছুতে আমাদের হাত দেওয়া উচিত না। বর্তমান আমরা যে জটিল পরিস্থিতিতে আছি, সেটা আরও জটিলতর হবে। এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যত শিগগির সম্ভব- আমরা যাতে গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারি। কারণ এই জুলাই-আগস্টের যে বিপ্লবটা ঘটে গেছে, তার একটা প্রধান আকাক্সক্ষা ছিল গণতন্ত্রহীনতা থেকে উত্তরণ। রাষ্ট্রের সব সংস্কার বর্তমান সরকার করতে পারবে, সেই উচ্চাশা করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন মুনীরুজ্জামান। তিনি বলেন, এই পর্যায়ে যেসব সংস্কার প্র্যাকটিকাল, সেগুলো থেকে আমাদের দুটো সংস্কারের ব্যাপারে আমাদের বিশেষ করে জোর দিতে হবে। কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না- যদি এর সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বা রাজনৈতিক দলের একমত না হয়। মুনীরুজ্জামান বলেন, আমরা ইতঃপূর্বে দেখেছি বিভিন্ন সময় অনেক সংস্কার হয়েছিল। ১/১১ সময় অনেক সংস্কার হয়েছিল। কোনোটাই টেকসই হয়নি। কাজেই আমাদের উচিত হবে- এমন ধরনের সংস্কার করা, যেগুলো টেকসই হবে; যেগুলো থেকে জাতি ভবিষ্যতে উপকার পাবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতীয় নেতৃবৃন্দ বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে পাশ কাটিয়ে কোনো কিছু করলে সেটা ঠিক হবে না; এটা আমাদের সবসময় মনে রাখার প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ১৬-১৭ বছর শুধু সংগ্রাম করে নাই, তাদের ভোটের অধিকারও হরণ করে নেওয়া হয়েছিল। তাদের যে ভোটের অধিকার, সেটা তাদেরকে যত শিগগির সম্ভব ফিরিয়ে দিতে হবে। সেটা উচিত হবে আমাদের সকলের এবং এই কমিশনের এবং অন্যান্য সকলের। এমন কোনো জিনিসে হাত দেওয়া উচিত হবে না, যেটা থেকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আরও বিলম্ব হয়। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান, ওয়ারেসুল করিম, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, চৌধুরী সামিউল হক, মির্জা হাসান, ইলিরা দেওয়ান, সাইদা সুলতানা রাজিয়া, বাসুদেব ধর, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, বিচারপতি এম এ মতিন। এ আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও ছিলেন বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স